Tuesday, February 27, 2018

Fair Review Committee proposal: Flat 20-50% discount on train tickets

ফেয়ার রিভিউ কমিটির প্রস্তাব 
আগে কাটলে ট্রেনের টিকিটে মিলতে পারে ২০-৫০% ছাড়




প্রস্তাবে সিলমোহর পড়লে, বিমানের মতো পছন্দের সিটে গুণতে হবে বেশি কড়ি। কোন্ ট্রেন কোন্ সময়ে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছে, তার ওপরও নির্ভর করবে ভাড়া 


সামনের ডিসেম্বরে কি দূরে কোথাও? 

না কি এখনও পরিকল্পনা পাকা হয়নি? 

উত্তর যদি, ‘না’ হয়, তাহলে এখনই করুন। 

কারণ, আগে এলে আগে পাওয়ার মতো, আগে কাটলে সস্তা হতে পারে ট্রেনের টিকিটও!
এরকমই ভাবনা ভারতীয় রেলের। ফেয়ার রিভিউ কমিটির প্রস্তাবে সিলমোহর পড়লে চালু হতে চলেছে এরকই নিয়ম। 

সোজা কথায়, উড়ানে যেমন বেশ কয়েক মাস আগে টিকিট কাটলে, অনেক সস্তা হয়, তেমনই পদ্ধতি চালু হতে পারে ভারতীয় রেলে। চলতি সপ্তাহেই এ সম্পর্কে প্রস্তাব জমা দিয়েছে ফেয়ার রিভিউ কমিটি।



কী আছে সেই প্রস্তাবে? সূত্রের খবর, প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 
  • আগে টিকিট কাটলে ফাঁকা থাকা আসন সংখ্যার ভিত্তিতে ছাড় মিলতে পারে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ। 
  • সংরক্ষিত আসনের তালিকা তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে টিকিট কাটলেও মিলতে পারে ছাড়। 
  • ট্রেন ছাড়ার ২ দিন থেকে ২ ঘণ্টা আগে কাটা টিকিটেও ছাড় দেওয়া হতে পারে।
  • বিমানের সামনের আসন পাওয়ার জন্য যেমন বেশি ভাড়া দিতে হয়, তেমন পদ্ধতি চালু হতে পারে রেলেও। লোয়ার বার্থের জন্য দিতে হতে পারে বেশি ভাড়া। তবে বয়স্ক, গর্ভবতী বা শারীরিকভাবে সক্ষম নন, এমন যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়াই লোয়ার বার্থ পাবেন। 
  • যেসব ট্রেন সুবিধাজনক সময়ে গন্তব্যে পৌছবে, তার ভাড়া বেশি হবে সেই সব ট্রেনের তুলনায়, যেগুলি একই গন্তব্যে পৌঁছয় রাত ১২টা বা ভোর চারটের মতো অসময়ে। 
  • উত্‍সবের মরসুমে, যখন চাহিদা বেশি, তখন বেশি হতে পারে ট্রেনের ভাড়া, অফ সিজনে কম। 
  • ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকলে লাগতে পারে প্রিমিয়াম চার্জ। 


আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানের মতো ট্রেনেও চালু হয় ফ্লেক্সি ফেয়ার। 

ফ্লেক্সি ফেয়ার কী?

পরিবর্তনশীল মূল ভাড়া। যাত্রার দিন যত এগিয়ে আসবে এবং ট্রেনের আসন সংখ্যা যত কমে আসবে, ততই বেশি হবে সেই ভাড়া। ফ্লেক্সি ফেয়ারের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা যায় নির্ধারিত ভাড়ায়। পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশ আসনের জন্য মূল ভাড়া বাড়তে থাকে ১০ শতাংশ করে। আসন সংখ্যা যত কমতে থাকে, ততই বেশি হতে থাকে মূল ভাড়া। তার সঙ্গে যুক্ত হয় রিজার্ভেশন চার্জ, সুপার ফাস্ট চার্জ, ক্যাটারিং চার্জ ও সার্ভিস ট্যাক্স। 

এই হিসেবে অনেক সময়ই ট্রেনের ভাড়া বিমানের ভাড়াকে ছুঁয়ে ফেলছিল। ফলে কমতে থাকে ওইসব ট্রেনের যাত্রী। 

অনেকে বলছেন, সেই ক্ষত মেরামতেই এবার ছাড়ের ভাবনা রেলের। এতএব, প্রস্তাব সবুজ সঙ্কেত পেলে, শুভস্য শীঘ্রম। 





No comments:

Post a Comment

Popular Posts

বাংলার ঘরে ঘরে আজ শিবরাত্রি পুরাণ মতে, শিবকে পতি রূপে পাওয়ার জন্য রাত জেগে উপবাস করে শিবের আরাধনা করেছিলেন দেবী পার্বতী৷ তারপর থেকেই ...